আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় বগুড়া জেলার উপজেলা।
বগুড়া জেলার উপজেলা:-
বগুড়া জেলা ১৮২১ সালে জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলায় উপজেলার সংখ্যা মোট ১২ টি। পৌর সভার সংখ্যা ১২ টি, ইউনিয়ন রয়েছে মোট ১১১
শাজাহানপুর উপজেলা
শাহজাহানপুর উপজেলা বাংলাদেশের বগুড়া জেলার একটি উপজেলা। বগুড়া শহর থেকে দূরত্ব ১০ কিমি। বগুড়া সদরের দক্ষিণ দিকে এর অবস্থান। শাহজাহানপুর উপজেলার উত্তরে বগুড়া সদর উপজেলা, দক্ষিণে শেরপুর উপজেলা পূর্বে গাবতলী উপজেলা ও ধুনট উপজেলা, পশ্চিমে নন্দীগ্রাম উপজেলা ও কাহালু উপজেলা।
আদমদিঘী উপজেলা
আদমদিঘী বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা এবং বগুড়া জেলার পশ্চিমাংশে অবস্থিত। মাদুর শিল্পের জন্য এ উপজেলা প্রসিদ্ধ। এ উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের শাঁওইল বাজার তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। বগুড়া সদর থেকে আদমদিঘী উপজেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা, দক্ষিণে নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলা, পূর্বে কাহালু উপজেলা ও নন্দীগ্রাম উপজেলা, পশ্চিমে নওগাঁ সদর উপজেলা।
বগুড়া সদর উপজেলা
বগুড়া সদর বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে প্রবেশদার এক ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জনপদ বগুড়া। প্রাচীন পুন্ড রাজ্যের রাজধানী পুন্ডবর্ধন হচ্ছে বগুড়া। জেলা সদর হতে দূরত্ব ০৭ কিঃ মিঃ। উপজেলার আয়তন ১৭৭.৩৪ বর্গ কিলোমিটার। বগুড়া সদর এর উত্তরে শিবগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে শাজাহানপুর-উপজেলা, পূর্বে গাবতলী উপজেলা, পশ্চিমে কাহালু উপজেলা। সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন বগড়া ১২৭৯ থেকে ১২৮২ পর্যন্ত এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তার নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছে বগড়া বা বগুড়া।

ধুনট উপজেলা
ধুনট বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। বগুড়া জেলা হতে দক্ষিণ পূর্বে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে ধুনট উপজেলা অবস্থিত। অবস্থানঃ ২৪°৩২´ থেকে ২৪°৪৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৮´ থেকে ৮৯°৪০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানাঃ এ উপজেলার উত্তরে গাবতলী উপজেলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলা, দক্ষিণে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা, পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলা ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা, পশ্চিমে শাজাহানপুর-উপজেলা ও শেরপুর উপজেলা।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা
দুপচাঁচিয়া বাংলাদেশের বগুড়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা; যেটি পূর্বে “ধুপচাঁচিয়া” নামে পরিচিত ছিল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বগুড়া-৩ আসনের অন্তর্গত। বগুড়া সদর থেকে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। এর মোট আয়তন ১৬২.৪৫ বর্গ কিলোমিটার এবং দুপচাঁচিয়া পৌরসভার আয়তন প্রায় ১০.৯৩ বর্গ কিলোমিটার। এর পূর্ব পাশ দিয়ে নাগর নদী বয়ে গেছে। দুপচাঁচিয়া বগুড়া জেলার অন্যতম বড় একটি উপজেলা। দুপচাঁচিয়া এর উত্তরে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলা, দক্ষিণে আদমদীঘি উপজেলা ও কাহালু উপজেলা, পূর্বে শিবগঞ্জ উপজেলা ও কাহালু উপজেলা, পশ্চিমে আদমদীঘি উপজেলা ও জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা।

গাবতলী উপজেলা
গাবতলী উপজেলা বাংলাদেশের বগুড়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। গাবতলীকে ১৯৮৩ সালে উপজেলায় উন্নিত করা হয়। বগুড়া শহর থেকে এই উপজেলা প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এর উত্তরে শিবগঞ্জ উপজেলা ও সোনাতলা উপজেলা, দক্ষিণে ধুনট উপজেলা, পূর্বে সারিয়াকান্দি উপজেলা, পশ্চিমে বগুড়া সদর-উপজেলা ও শাজাহানপুর-উপজেলা।
কাহালু উপজেলা
কাহালু বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। কাহালু উপজেলা বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ও ব্যবসায়িক জনপদ । বগুড়া জেলা সদর হতে ১২ কি:মি পশ্চিমে এই উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার উত্তরে শিবগঞ্জ উপজেলা ও বগুড়া-সদর উপজেলা, দক্ষিণে নন্দীগ্রাম উপজেলা, পূর্বে বগুড়া সদর উপজেলা ও শাহজাহানপুর উপজেলা, পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলা।
নন্দীগ্রাম উপজেলা
নন্দীগ্রাম বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এ উপজেলার উত্তরে শাহজাহানপুর উপজেলা ও কাহালু উপজেলা, দক্ষিণে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা, পূর্বে শেরপুর উপজেলা, পশ্চিমে আদমদীঘি উপজেলা, নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলা ও নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা।
সারিয়াকান্দি উপজেলা
সারিয়াকান্দি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি বগুড়া জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা। সারিয়াকান্দি উপজেলার পৃথিবীর মানচিত্রের অবস্থান ২৪ ৪৪ হতে ২৫ ০৪ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ ৩১ হতে ৮৯ ৪৫ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। উত্তরে সোনাতলা উপজেলা, দক্ষিণে ধুনট উপজেলা, পূর্বে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে গাবতলী উপজেলা।

শেরপুর উপজেলা
শেরপুর বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা এবং এটি রাজশাহী বিভাগের মধ্যে অবস্থিত। শেরপুর থানা ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। উপজেলার প্রশাসনিক কেন্দ্রের নাম অনুযায়ী শেরপুর শহরের নামকরণ করা হয়।
কথিত আছে যে, সেখানে একবার শের বসবাস (বাংলা: শের, tiger) করতে দেখা গেছে, যা থেকে “শেরপুর” নাম হয়। এই উপজেলার উত্তরে শাজাহানপুর উপজেলা, দক্ষিণে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা ও তাড়াশ উপজেলা, পূর্বে ধুনট-উপজেলা, পশ্চিমে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা ও নন্দীগ্রাম উপজেলা।
শিবগঞ্জ উপজেলা, বগুড়া
শিবগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। প্রাচীন পুন্ড্র জনপদের রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর (বর্তমান নাম মহাস্থানগড়) এই উপজেলাতেই অবস্থিত। এটি বগুড়া শহর থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে অবস্থিত। এর মোট আয়তন প্রায় ৩১৫.৩৩ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে বগুড়া সদর উপজেলা ও কাহালু উপজেলা ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা, পূর্বে সোনাতলা উপজেলা ও গাবতলী উপজেলা, পশ্চিমে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলা ও ক্ষেতলাল উপজেলা। বগুড়া জেলা শহর হতে ১৯ কিমিঃ উত্তরে গাংনই নদীর তীরে অবস্থিত। অবশ্য শিবগঞ্জ মূল করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত।
সোনাতলা উপজেলা
সোনাতলা উপজেলা বাংলাদেশের বগুড়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। সোনাতলা উপজেলা বগুড়া জেলা শহর হতে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ উপজেলা উত্তরে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলা ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে গাবতলী উপজেলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলা, পূর্বে সারিয়াকান্দি উপজেলা, পশ্চিমে শিবগঞ্জ উপজেলা ও গাবতলী উপজেলা।
আরও পড়ুনঃ